মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১০

নিটরো পিডিএফ রিডার

পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (পিডিএফ) পড়ার জন্য এডোবি পিডিএফ রিডার যেমন ভালো সফটওয়্যার, তেমনই পিডিএফ ফাইল তৈরি করা বা সম্পাদনা করার জন্য এডোবি অ্যাক্রোবেট বেশ জনপ্রিয়।
তবে বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ছোট ছোট পিডিএফ রিডার, পিডিএফ ক্রিয়েটরও ভালো। এমনই একটি পিডিএফ রিডার ও ক্রিয়েটর হচ্ছে নিটরো পিডিএফ রিডার।
এটি দিয়ে পিডিএফ পড়াসহ যেকোনো ডকুমেন্ট বা ওয়েব পাতাকে পিডিএফ তৈরি করা এবং পিডিএফ ডকুমেন্টে লেখা বা ডিজিটাল স্বাক্ষর সংযোজন করা যাবে।
মাইক্রোসফট অফিস-২০০৭-এর গ্রাফিক্যাল আদলে তৈরি করা বিনামূল্যে সফটওয়্যারটি www.nitroreader.com থেকে নামানো (ডাউনলোড) যাবে, যা উইন্ডোজের সব সংস্করণে চলবে।

সহজেই ছবি রাখুন ওয়েবে

ছবি ভাগাভাগি বা সংরক্ষণ করার জন্য অনেকেই ছবির ওয়েবসাইটে ছবি রাখেন (আপলোড)। বিনামূল্যে ছবি প্রকাশ করার (হোস্টিং) সাইট ইমেজশ্যাকে ছবি রাখা যায় নিবন্ধন অথবা নিবন্ধন ছাড়াও। তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ছবির নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইমেজশ্যাকে ছবি আপলোড করার দারুণ একটি প্রোগ্রাম (অ্যাড-অনস) হচ্ছে রিহোস্ট ইমেজ।
এ প্রোগ্রাম দ্বারা ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ফায়ারফক্স থেকে এক ক্লিকেই ছবি আপলোড করা যায়। এ জন্য https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/ addon/9221/ থেকে প্রোগ্রামটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স পুনরায় চালু করুন। এবার যে ছবিটি আপলোড করতে চান, সেটি ফায়ারফক্সে খুলে অথবা অন্য কোনো ওয়েবসাইটের ছবির ওপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Rehost Image and Copy to Clipboard-এ ক্লিক করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে ছবিটি আপলোড হয়ে যাবে, যা স্টাটাস বারে দেখাবে। ডিফল্টভাবে ছবিটি ইমেজশ্যাকে নিবন্ধনবিহীন আপলোড হবে। ইমেজশ্যাকের নিজের অ্যাকাউন্টে বা অন্য কোনো এফটিপি সার্ভারেও ছবি আপলোড করা যাবে।
এফটিপি সার্ভারে ছবি আপলোড করার জন্য অ্যাড-অনসের Rehost Image-এর অপশনে গিয়ে Upload to-এর ড্রপ-ডাউনে FTP নির্বাচন করে নিচে এফটিপির তথ্য দিয়ে Ok করুন। ইমেজশ্যাকের নিজের অ্যাকাউন্টে আপলোড করতে Upload to-এ ImageShack নির্বাচিত রেখে নিচের Upload to your account রেডিও বাটন নির্বাচন করে Registration code-এ অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল থেকে প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন কোড বসিয়ে Ok করুন। এ ছাড়া আপলোডের সময় ছবি রিসাইজ করা, রিনেম করা, আপলোডকৃত ছবির লিংকের হিস্টোরি দেখা ইত্যাদি সুবিধাও আছে অ্যাড-অনসটিতে।
সুত্র: প্রথমআলো

আপনার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি কি আসল?

সম্প্রতি এত ব্যাপকহারে চীনা প্রযুক্তির সেটে বাজার সয়লাব হয়েছে যে কোনো সেট আসল না নকল তা চেনাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নামিদামি বিভিন্ন সেটের আদলে তৈরি এসব নিম্নমানের সেট দেখতে হুবহু একই। মোবাইল সেট সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে আপনি দেখে চিনতেই পারবেন না সেটটি আসল না নকল। তবে আপনি চাইলে আপনার সেটটি অরিজিনাল কি না তা খুব সহজেই পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
প্রথমে আপনার মোবাইলে *#০৬# চেপে IMEI (International Mobile Equipment Identity) নম্বরটি বের করুন। অথবা আপনি ব্যাটারি খুলে সেটের গায়ে সংযুক্ত লেবেলেও নম্বরটি দেখতে পাবেন। এটি একটি ১৫ ডিজিটের ইউনিক নম্বর।
http://www.numberingplans.com/?page=analysis&sub=imeinrx-কে প্রবেশ করে ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি টাইপ করুন এবং জেনে নিন আপনার সেটের বিস্তারিত তথ্য।

নেটের ব্রাউজিং স্পিড বৃদ্ধি করুন

এর জন্য প্রথমে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে রানে যান এবং টাইপ করুন regedit, তারপর ড়শ-তে ক্লিক করুন রেজিস্ট্রি এডিটর চালু হবে। এবার খোঁজুন HKEY_LOCAL_MACHINE.
এরপর যান software, তারপর microsoft. এরপর windows-এ যান। এরপর current version-এ যান। এখান থেকে explorer-এ যান। তারপর remote computer-এ যান। namespace key-তে। এবার দেখুন এই namespace শবু-এর মধ্যে দুটি ভ্যালু আছে। প্রথমটি ‘{2227A280-3AEA-1069-A2DE-08002B30309D}’ যা remote computer-এর সঙ্গে প্রিন্টার শেয়ারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়টি ‘{D6277990-4C6A-11cf-8D87-00AA0060F5BF}’ এই কী বলে যে শিডিউল রিমোট টাস্ক। ২য় ভ্যালুটি ডিলিট করুন। দেখবেন ইন্টারনেটের ব্রাউজিং স্পিড আগের চেয়ে বেড়েছে। আপনার যদি প্রিন্টার শেয়ারিং করার প্রয়োজন না হয় তাহলে প্রথম ভ্যালুটি ডিলিট করে দিন, তাহলে আরও স্পিড বাড়বে। আর ভ্যালু দুটি ডিলিট করার আগে export করে নিন। যখন প্রয়োজন পড়বে তখন আবার import করে নিবেন রেজিস্ট্রিতে। পুরো প্রসেস হবে এরকম :
HKEY_LOCAL_MACHINE>Software>Microsoft>Windows>CurrentVersion>Explorer>remote computer>NameSpace>delete the seconed value.

সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০১০

উইন্ডোজ আপডেটিং সমস্যা

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চোরাই হলে আপডেট দিলেই মাইক্রোসফট তা বুঝতে পারবে এবং নিয়মিত একটি ম্যাসেজ পাবেন যে, আপনার অপারেটিং সিস্টেমটি নকল। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং সেভেনে অটোমেটিক আপডেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এর মাধ্যমে উইন্ডোজ নিজে থেকে ইন্টারনেট থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম, এ্যাপিস্নকেশন ও হার্ডওয়্যারের জন্য প্রয়োজনীয় আপডেট ডাউনলোড করে থাকে। পাশাপাশি সিকিউরিটি সিস্টেমও আপডেট হয় এভাবে। অপারেটিং সিস্টেম আপডেট থাকলে বিভিন্ন এপিস্নকেশন ও হার্ডওয়্যার নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে। তবে অনেক সময় আপডেট আপনার পিসির স্ট্যাবিলিটি নষ্ট করে দিতে পারে। কিভাবে বুঝবেন ? যেমন আপডেট করে পিসি রিস্টার্ট করার পর এরর মেসেজ, পিসি সেস্না হয়ে যাওয়া, হ্যাং করা ইত্যাদি। তখন প্রয়োজন পড়বে সামপ্রতিক আপডেটটি ডিলিট করে ফেলার। এবার আসুন দেখে নিই আপডেট কিভাবে আনইন্সটল করবেন। সব অপারেটিং সিস্টেম এর নিয়ম প্রায় একই। উইন্ডোজ ভিসতাতে আপডেট করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখুন।
০০ কন্ট্রোল প্যানেল থেকে প্রোগ্রামস এন্ড ফিচারস এ যান।
০০ বাম পাশের টাস্ক মেনু থেকে ভিউ ইন্সটলড আপডেটস-এ ক্লিক করুন।
০০ এখানে যে সমস্ত আপডেট ডাউনলোড করেছেন তার লিস্ট থেকে প্রয়োজনীয় আপডেটটি সিলেক্ট করে রিমুভ করুন। কোন আপডেট কবে ইন্সটল করেছেন তা দেখে সহজেই লেটেস্ট আপডেট কোনটি তা বুঝতে পারবেন।
০০ অথবা কন্ট্রোল প্যানেল>উইন্ডোজ আপডেট-এ গিয়ে ভিউ আপডেট হিস্টরিতে যান। সেখান থেকে ইন্সটলড আপডেট-এ ক্লিক করেও কাজটি করতে পারেন।
সুত্র: ইত্তেফাক

রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১০

জিপির মডেম দিয়েই ফুলস্পিডে উপভোগ করুন বাংলালিঙ্ক, রবি এবং ওয়ারিদের ইন্টারনেট

 আমি আপনাদের সাথে একটা ছোট্ট ট্রিক্স শেয়ার করব। গ্রামীন ফোন আমাদের দেশের অন্যতম রক্তচোশা কোম্পানী।বিভিন্য ফালতু অফার এর মাধ্যমে আমাদের রক্ত জল করা পয়সা তারা শুশে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।আমার সাথে একমত না, কে কে হাত তোলেন? যাই হোক তারা আমাদের মহান ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকেন,সেই সাথে তারা আমাদের একটি সুদৃশ্য মডেম কিনতে বাধ্য করেন।সেই সাথে আছে তাদের এন্টিক ইন্টারনেট সিম।নরমাল সিমের সাথে এটির কি পার্থক্য আমি তা এখনো বুঝি নাই।যাই হোক আমাদের এত দিন কার জানা মতে তাদের সুদৃশ্য মডেম দিয়ে শুধু মাত্র তাদের ইন্টারনেট সেবাই উপভোগ করা যায়।আমাদের এই ধারনার পেছনে কারন যে তারা তাদের সুদৃশ্য মডেমটিকে তাদের লোগো দিয়ে সাজিয়েছে সুতরাং তাদের এই মডেম দিয়ে অন্য কোন কোম্পানীর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারার কথা না।
“কিন্তু ভুল সবই ভুল”

তাদের সুদৃশ্য মডেমে সকল মোবাইল কোম্পানীর সিম ভরা যায় এবং তা দিয়ে সকল
মোবাইল কোম্পানীর ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করা যায়।
কিন্তু কি করে?
আমাদের সবার প্রিয় টিটি একটা পরিবারের মত আর তার বেশির ভাগ সদস্য জিপির ইন্টারনেট ইউজ করে।আর স্বাভাবিক ভাবেই তারা জিপির হাতে বন্দি।ইচ্ছা থাকা সত্তেও তারা অন্য কোম্পানীর ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারেনা।এই তো সেদিন ওয়ারিদের একটি চমৎকার অফার এল যে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও শনিবার ৩০টাকায় ২দিনে ১জিবি ইউজ অফার।তার মানে প্রতি মাসে ৪টি শুক্রবার ও শনিবার মানে ৮দিনে ৪জিবি,ধুমসে ডাউনলোডের জন্য যথেস্ট।এই অফার ম্যাক্সিমাম গ্রাহক উপভোগ করতে পারেনি জাস্ট একটা মডেমের অভাবে,কারন মোবাইল দিয়ে আর কত ডাউনলোড করা যায়?সেই মডেমের অভাব আজ আমি আপনাদের ঘুচিয়ে দেব।দেখাবো জিপির মডেম দিয়ে কিভাবে অন্য কোম্পানীর ইন্টারনেট ইউজ করতে হয়।আমি স্ক্রীনশট সহ বিস্তারিত নিচে বর্ননা করছি। আমি প্রথমে ওয়ারিদের ক্ষেত্রে স্ক্রীনশট সহ বিস্তারিত পদ্ধতিটি বর্ননা করছি এবং পরে বাংলালিঙ্ক, রবির ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি বর্ননা করছি।

                                                 ১.জিপি মামার মডেম এর ডিফল্ট ওয়েলকাম স্ক্রীন এটি।

                                                      ২. Tools এ গিয়ে Option ক্লিক করুন।

                                                      ৩. Profile Management এ ক্লিক করুন।

                                                                 ৪. New ক্লিক করুন।

৫. “Profile Name” এর যায়গায় লিখুন “Warid Internet” এবং “APN” Static সিলেক্ট করুন এবং এর জায়গায় লিখুন “internet” (APN সবসময় ছোট হাতের হবে)।
বাংলালিঙ্ক এবং রবির ক্ষেত্রে
রবি
Profile Name:- Robi Internet
APN:- internet
বাংলালিঙ্ক
Profile Name:- Banglalink Internet
APN:- blweb
***APN সিলেকশন সবসময় “Static” (সবার ক্ষেত্রে)

                                                             ৬. OK করে Yes করুন।

                                            ৭. ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার বিভিন্ন কোম্পানীর প্রোফাইল।

 ৮. এখন যে মামা ভালো ইন্টারনেটের অফার দিবে, সেই মামার সিম মডেমে ভরবেন আর সে মামার প্রোফাইল সিলেক্ট করেনজাস্ট  ''Connect” ক্লিক করবেন।

৯. দেখুন মজা। আমরা বাঙ্গালী আর তাই অলওয়েজ করি চোরের উপর বাটপারি। কেউ মাইন্ডে নিয়েন না।
সময় নিয়ে এই টিউনটি যথাসম্ভব গুছিয়ে করার চেষ্টা করেছি।কতটুকু পেরেছি তা আপনারা ভাল বলতে পারবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন এবং একটা অনুরোধ, ভাল মন্দ যে কোন ধরনের কমেন্ট এবং সমালোচনা বেশি বেশি করবেন,যার ফলে এই টিউনের ভুল গুলো আমার চোখে পরবে এবং নেক্সট টিউনে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেস্টা করবো ফলে ভবিষ্যতে আরও ভাল টিউন আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সবাই কে।

শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১০

সহজে ছবি এডিট

খুব সহজেই ছবি এডিট করার একটি মজার সফটওয়্যার হচ্ছে সিপ্যাক ইমেজিন প্রো। এ সফটওয়্যারটি দিয়ে যে কেউ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড, কালার, স্ক্রিন ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন। যাঁদের Adobe Photoshop-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং ছবি এডিটিং সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই তাঁরাও এ সফটওয়্যার দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন। সাদাকালো ছবিও রঙিন করা যাবে এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। http://bit.ly/9ZLYXMঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।

ভাইরাস স্ক্যানের নামে তথ্য চুরি

অনলাইনে বিনা মূল্যে ভাইরাস স্ক্যান করার প্রলোভন দিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করে নিচ্ছে হ্যাকাররা, জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গেট সেইফ অনলাইন। গেট সেইফ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করে। গেট সেইফের মতে, অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কম্পিউটার স্ক্যান মেসেজ অপশনে ক্লিক করে নিজের কম্পিউটার স্ক্যান করিয়ে নেয়। কিন্তু হ্যাকাররা এ ধরনের মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার স্ক্যানের পরিবর্তে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। গেট সেইফ অনলাইনের প্রধান নির্বাহী টনি নেট জানান, যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এ ধরনের ভুয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গুগলও জানিয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়া সফটওয়্যার। সফটওয়্যারগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে কম্পিউটারের ক্ষতি করে। ওয়েবসাইটের পপ-আপ মেসেজের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে এ ভুয়া সফটওয়্যার।
 সূত্র : বিবিসি

ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলুন সহজে

বিভিন্ন কারণে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলা কিংবা নাম পরিবর্তন করা যায় না। এসবের মূল কারণ হচ্ছে ওই ফাইল বা ফোল্ডারটি কোনো চলতি প্রোগ্রামে ব্যবহূত হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তির সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার হচ্ছে আনলকার। এক মেগাবাইটের মতো ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি এখান থেকে বা এখান থেকে নামিয়ে নিন (ডাউনলোড)।
সফটওয়্যারটি ইনস্টল থাকলে সমস্যায় আক্রান্ত ফাইল বা ফোল্ডারের ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Unlocker-এ ক্লিক করলে দেখা যাবে ওই ফাইল বা ফোল্ডারটি কোনো কোনো প্রোগ্রামে ব্যবহূত হচ্ছে। এবার Unlock All বাটনে ক্লিক করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ ছাড়া বাঁ পাশের No action ড্রপ-ডাউন থেকে Delete নির্বাচন করে Unlock All বাটনে ক্লিক করলে ফাইল বা ফোল্ডারটি ডিলিট হয়ে যাবে। এভাবে Rename বা Move করা যাবে।
তা ছাড়া কোনো ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট, মুভ, রিনেম করতে গিয়ে না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে Unlocker সফটওয়্যারটি চালু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই পদ্ধতিতে No action ড্রপ-ডাউন থেকে দরকারি অপশনটি নির্বাচন করে Unlock All করলেই হবে।
প্রথমআলো

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১০

৫ মিনিটে XP SETUP করুন Acronis True Image Home 2010 দিয়ে খুব সহজে। (স্ক্রিন সর্টসহ বিস্তারিত)

আজ আমি আপনাদের দারুন কাজের একটি সফটওয়ার দিব যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই উইন্ডোজ ইনস্টল করতে পারবেন। আপনারা হয়ত অনেকে জেনেছেন ৫ মিনিটে উইন্ডোজ ইনস্টল করা যায় কিন্তু স্ক্রিন সর্ট সহ বিস্তারিত জানার অভাবে ইনস্টল দিতে ভয় পাচ্ছেন।  প্রথম প্রথম আমার ও ভয় হয়েছিল কিন্তু একবার চেষ্টার পরে পেরে গেছি কোন সমস্যা হয় নি।
এই সফটয়ারটি মূলত আপনার উন্ডোজের সকল এপলিকেশন গুলোকে ব্যাকআপ রাখে এবং কোন কারনে উইন্ডোজ নস্ট/করাপ্ট হয়ে গেলে ব্যাকআপ ফাইল থেকে রিস্টোর করে। এই সফটয়ারটির মাধ্যমে আপনি ৫ মিনিটের মধ্যে উইন্ডোজ সহ সকল সফটওয়ার ও ড্রাইভার সেটআপ দিতে পারবেন। $49.99 মূল্যের সফটওয়ারটি একদম ফ্রি। নিচে কয়েকটি ধাপে সফটওয়ারটির বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লা।
আমার এই লিখাটি তাদের জন্য যারা মনোযোগ সহকারে পুরো পোষ্টটি পড়বেন। মনোযোগ সহকারে পড়লেই কেবল আপনারা এই সফটওয়ারটি সম্পরকে বুঝতে পারবেন। সফটওয়ারটি আমি খুব সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। সফটওয়ারটি ডাউনলোডের জন্য নিচের লিংটিতে ক্লিক করুন Acronis True Image Home এর ওয়েব সাইটটি আসবে সেখান থেকে Free Trial  ক্লিক করলে সফটওয়ারটি ডাউনলোড হবে।
সফটওয়ারটি এখানে


সিরিয়াল কির প্রথম লিংক

সিরিয়াল কির দ্বিতীয় লিংক


সফটওয়ারটি ডাউনলোড শেষে সিরিয়াল কি দিয়ে সেট আপ করে নিন। ঠিকভাবে সেটআপ হলে আপনাকে একটি বুটেবল সিডি তৈরি করে নিতে হবে।ভয় নেই খুব সহজ। এজন্য আপনার ডিভিডি রাইটা ও একটি ব্ল্যান্ক সিডি থাকতে হবে। রাইটার যদি না থাকে তাহলে আইএসও ইমেজ তৈরি করে রাখুন পরে কারো কাছ থেকে ডিভিডি রাইটার এনে বুটেবল সিডি তৈরি করে নিবেন।এখন মূল কথায় আসা যাক।
প্রথম ধাপ:



বুটেবল সিডি তৈরি :

উপরের চিত্রের মত Start গিয়ে Programs> Acronis >Acronis True Image Home থেকে Bootable Rescue Media Builder এ ক্লিক করুন। নিচের চিত্রটির মত দেখাবে।

Next দিন

এবার বাঁ পাশের ঘর থেকে Acronis True Image Home (Full version)  এর সামনের ঘরে টিক বসিয়ে দিন। Next দিন আবার Next দিন।

এবার উপরের চিত্রেরর ন্যায় CD-RW Drive (J:) সিলেকট করে দিয়ে আবার Next দিন

এবার Proceed এ ক্লিক করুন। ব্যাস কিছুক্ষনের মধ্যে আপনার বুটেবল সিডি তৈরি হয়ে যাবে। এবার সিডি আপনা আপনি বেরিয়ে আসবে। সিডিটি যত্ন সহকারে রেখে দিন কারন এটি আপনার এক্সপি সেট আপ নষ্ট হয়ে গেলে লাগবে।
দ্বিতীয় ধাপ :
উইন্ডোজের ব্যকআপ :
একটি ভাল ব্যকআপ নেয়ার আগে আপনাকে কতগুলি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।এগুলি হলো-
১। আপনার উইন্ডোজটি যদি কিছুদিন আগে সেটআপ দিয়ে থাকেন তাহলে নতুন করে সেটআপ দেয়ার দরকার নেই। যদি অনেকদিন আগে দিয়ে থাকেন তাহলে দিয়ে নিন।
২। প্রয়োজনীয় সফটওয়ার আপডেট করে নিতে হবে। যেমন- এন্টিভাইরাস,ডটনেট,জাভা ডাইরেকট এক্স ইত্যাদি।
৩। প্রয়োজনীয় সফটওয়ারগুলি রেখে বাকি সফটওয়ার আনইনষ্টল করে ফেলতে হবে।
৪।মাই ডকুমেন্ট ও সি ড্রাইভের সব অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন। ডাউনলোড ম্যানেজার বাই ডিফল্ট মাই ডকুমেন্ট এ একটা Download নামে ফোল্ডার তৈরি করে, সেটা চেক করে প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য স্থানে নিয়ে বাকি সব ডিলেট করে ফেলুন।
৫। রেজিষ্ট্রি ক্লিন করুন। এই জন্য আপনি CCleaner ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি আপনার মনের মত করে কম্পিউটারকে সাজিয়ে নিতে পারেন।
প্রথমে আপনি  ডেস্কটপ থেকে অথবা প্রোগ্রামে গিয়ে Acronis True Image Home 2010 রান করুন।

লাল তীর চিহ্নিত Back Up অপশনটি ক্লিক করুন।

এবার Disk and Partition Backup অপশনটিতে ক্লিক করুন।

আপনার যে ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনস্টল করা হয়েছে তা সিলেক্ট করে দিন। সাধারণত সি ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনস্টল করা হয়। তাই সেটি ডিপল্ড হিসেবে সি ড্রাইভ সিলেক্ট করা থাকে। যদি সি ড্রাইবের বা পাশের ঘরটিতে টিক দেয়া থাকে না থাকলে টিক চিহ্ন বসিয়ে দিবেন। এরপর Next এ ক্লিক করুন।

এবার Browse  এ ক্লিক করুন।

এবার  সি এবং সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ ব্যাতিত অন্য যেকোন ড্রাইভ সিলেক্ট করুন। এরপর জেনারেট নেম এ ক্লিক করুন।

জেনারেট নেম এ ক্লিক করলে Mybackup নামে একটা ডিফল্ট নাম আসবে ফাইলের। আপনি ইচ্ছে করলে সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন, তবে সবার শেষে .tib টা চেঞ্জ করবেন না। এবার ওকে করুন।

Next দিন

Proceed দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যকাপ প্রসেস শুরু হবে। শুধু মাত্র মাদারবোর্ড ড্রাইভার সহ উইন্ডোজ ব্যাকাপ নিলে ৪/৫ থেকে মিনিট লাগতে পারে। ফাইল সাইজ হতে পারে ১.৫ থেকে ২ জিবি। আর সব সফটওয়ার সহ নিলে সময় একটু বেশী নিবে এবং ফাইল সাইজ হতে পারে ৩.৫ থেকে ৪.৫ জিবি।
ব্যাকাপ নেয়া সফল হলে মেসেজ পাবেন।
তৃতীয় ধাপ :

ব্যকআপ রিস্টোর :
দুইভাবে উইন্ডোজ রিস্টোর করা যায়। তা হলো-
১/ সরাসরি উইন্ডোজে থেকে।
২/ বুটেবল সিডি দিয়ে।
১।  সরাসরি উইন্ডোজ থেকে কিভাবে রিস্টোর করা যায় তার বিবরণ নিচে দেয়া হল:-
ডেস্কটপ অথবা Start>programs থেকে Acronis > Acronis True Image Home সফটএয়ারটি চালু করুন।নিচের চিত্রের মত দেখাবে।

এবার Recover থেকে Disk and Partition Recover নির্বাচন করুন।

এখন Browse এ ক্লিক করুন।


এখন আপনি যেই ড্রাইবে উইন্ডোজের ব্যাকাপ রেখেছিলেন  তা খুঁজে বের করুন। ড্রাইভের উপর দুই ক্লিক করতে হবে।


উপরের চিত্রের মত  সিলেক্ট করে ওকে করুন।


এবার উপরের চিত্রের মত সিলেক্ট করে Next ক্লিক করুন।


সি ড্রাইভের সামনের ঘরে টিক চিহ্ন বসিয়ে দিন এবং Next দিন।






এবার Proceed দিন।

এবার Reboot ক্লিক করুন। কম্পিউটার রিস্ট্রাট  হবে।এর মধ্যে আপনার উইন্ডোজ ইনস্টল শুরু হবে। ৪/৫ মিনিট লাগবে।এবং শেষ হলে মেজেস পাবেন।
২/ Bootable CD দিয়ে রিস্টোর করার পদ্ধতি  :-
প্রথমে আপনাকে মাদারবোর্ডের BIOS এ গিয়ে বুট সিলেক্ট করে দিতে হবে CD/DVD ROM কে।
এর পর Acronis এর বুটেবল সিডিটি সিডি ড্রাইভে প্রবেশ করিয়ে পিসি Start করুন। আপনার BIOS First Boot হিসেবে সিডি সার্চ করবে এবং Acronis রান হবে। এবার দুটি অপশন থেকে আপনি Acronis True Image 2010 সিলেক্ট করুন।
পরবর্তি Step গুলো উইন্ডোজ থেকে রিস্ট্রোর করার মতই। সুতরাং সেটা ফলো করুন।
রিস্টোর শেষে Success মেসেজ আসলে ওকে দিয়ে ক্লোজ করুন। এবার উইন্ডোজ রিস্টার্ট হবে। যেহেতো বুটেবল সিডিটি এখনোও আপনার সিডি ড্রাইভে আছে, সেহেতো আবার সেই দুটি অপশন আসবে। আপনি এবার উইন্ডোজ সিলেক্ট করুন। ঠিক মত রিস্টোর হলে উইন্ডোজ রান হবে।
পরে BIOS এ গিয়ে বুট চেঞ্জ করে নিবেন। এই সফটওয়ারে আরো গুরুত্বপূর্ন অনেক পিচার আছে তা আপনারা নিজে নিজে দেখে নিবেন।
পরিশেষে অভ্র সংক্রান্ত দুটি টিপস্‌ দিয়ে শেষ করবো।
১। আমরা অভ্র দিয়ে টাইপ করার সময় কখনো বাংলা আবার কখনো ইংরেজি অপশন চেঞ্জ করতে হয় এজন্য আমরা মাউস দিয়ে ক্লিক করে দিই কিন্তু এই কাজ কি বোড দিয়ে ও করা যায় কি বোড থেকে  F12 চাপলে বাংলা আবার  F12 চাপলে ইংরেজি অপশন আসবে।

২। কি বোড থেকে “ও” টাইপ করতে  হলে   ”gx” চাপতে হবে।
টিউন করেছেন : হেরার আলো

যেভাবে তৈরী করবেন এই ব্লগের মত একটি বাংলা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ (এ টু জেড)

ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করলেও কিছুদিন আগেই একটি বাংলা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ করলাম প্রথমবারের মত তো কিভাবে তৈরী হল সেই ব্লগ তাই আজ সবার সাখে শেয়ার করব একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
ডোমেইন এটাচ
ব্লগটি তৈরীর জন্য প্রথমেই একটি ডোমেইন ও হোস্টিং নিয়েছি। এরপর ডোমেইন এর সি প্যানেল ও হোস্টিং এটাচ করলাম এভাবেঃ
হোস্টিং এর সি প্যানেলে ডোমেইন ম্যানেজার এ এটাচ করার অপশনে ক্লিক ডোমেইনটি এড করলাম এবং এখান থেকে হোস্ট এর নেম সার্ভারের এ্যাড্রেসগুলো সংগ্রহ করলাম।

ডোমেইন এর সি প্যানেল এ গিয়ে নেম সার্ভার এর ঠিকানা বসানোর জায়গায় হোস্টিং এর ডিএনএস এ্যাড্রেস গুলো বসিয়ে দিয়ে সেভ করলাম।

হোস্ট সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল
ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার জন্য আগে এখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এর সর্বশেষ ভার্সনটি ডাউনলোড করে আনজিপ করুন। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার আগে config.php ফাইলটি কনফিগার করার দরকার হবে। এই পুরো প্রসেসটিই অনলাইনে করা যায় বা অফলাইনে ফাইল তৈরি করে পরে আপলোড করে অনলাইনে শুধু ইনস্টল করলেই হয়। দুটি পদ্ধতিই আমি শেয়ার করব যথাক্রমে।
পদ্ধতি এক
এই পদ্ধতিতে ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড এবং আনজিপ করার পর ফোল্ডারের ভেতরের config sample.php ফাইলটি ওপেন করুন নোটপ্যাডে। এরপর নিচের ছবিতে দেখানো অংশে আপনার হোস্টিং সার্ভারের ডাটাবেজ নাম, ডাটাবেজ ইউজার নাম, ডাটাবেজ পাসওয়ার্ড এবং মাইএসকিউএল হোস্ট এর নাম বসিয়ে সেভ করুন wp-config.php নামে।

এরপর এই ফোল্ডারটি আপলোড করুন আপনার হোস্টিং এর ভেতরে আপনি যেই ডোমেইনে ইনস্টল করতে চান সেই নামে একটি ফোল্ডার তৈরী করে তার মধ্যে public_html অথবা htdocs ফোল্ডার তৈরী করে তার ভেতরে। অর্থাৎ হোস্টিং এর ফাইল ম্যানেজার>ডোমেইন.কম(উদাহরন) নামের ফোল্ডার>htdocs ফোল্ডারের ভেতর। অনেক সময় ডোমেইন এটাচ করার পর আপনাআপনি এই ফোল্ডারগুলো তৈরী হয়ে থাকে।

যে ডোমেইনে ইনস্টল করার জন্য তার ফোল্ডারে ওয়ার্ডপ্রেস আপলোড করেছেন এবার আপনার ব্রাউজার থেকে  http://wordpress.org/ ডোমেইন.কম(উদাহরন)/wp-admin/install.php যান। এবার নিচের ছবির মত একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড আর ইমেইল বসিয়ে Install wordpress এ ক্লিক করুন।

তারপর দেখুন হয়ে গেছে আপনার ডোমেইন ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল ঠিক নিচের ছবির মত।
5

পদ্ধতি দুই
এই পদ্ধতিটি অপেক্ষাকৃত সহজ। এ পদ্ধতিতে ওয়ার্ডপ্রেস এর ফোল্ডারটি ডাউনলোডের পর তা আনজিপ করে সরাসরি ফোল্ডারটি আপলোড করুন আপনার হোস্টিং এর ভেতরে আপনি যেই ডোমেইনে ইনস্টল করতে চান সেই নামে একটি ফোল্ডার তৈরী করে তার মধ্যে public_html অথবা htdocs ফোল্ডার তৈরী করে তার ভেতরে। অর্থাৎ হোস্টিং এর ফাইল ম্যানেজার>ডোমেইন.কম(উদাহরন) নামের ফোল্ডার>htdocs ফোল্ডারের ভেতর। অনেক সময় ডোমেইন এটাচ করার পর আপনাআপনি এই ফোল্ডারগুলো তৈরী হয়ে থাকে। আপলোডের পর ব্রাউজার থেকে এবার সেই ডোমেইনটি ব্রাউজ করুন। তাতে নিচের মত পেইজটি আসবে। এরপর এখানে Create a Configuration File এ ক্লিক করুন।

এরপর যে পেজ আসবে তাতে Lets go তে ক্লিক করুন।

এরপর যে পেজ আসবে তাতে নিচের পেজ এর মত করে যে ডেটাবেজ এ ইনস্টল করতে চান সেই ডেটাবেজের নাম, ডেটাবেজ ইউজার নাম, পাসওয়ার্ড এবং মাইএসকিউএল হোস্টের নাম দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করুন।


এরপর নিচের মত পেজ আসলে তাতে Run the Install এ ক্লিক করুন।

এরপর ইনস্টল পেজ আসলে তাতে ব্লগের এডমিন ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড আর ইমেইল বসিয়ে Install WordPress এ ক্লিক করুন।

হূমম এ পদ্ধতিতেও তৈরী হয়ে গেল আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ।

ব্লগ বাংলা করন
যদি আপনি ব্লগটিকে বাংলায় রুপ দিতে চান তবে এখান থেকে bn_BD.mo ফাইলটি ডাউনলোড করুন এবং এটি আপলোড করুন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টের wp content>Languages ফোল্ডারের ভেতর। Languages ফোল্ডার না থাকলে তৈরী করে নিন। এরপর wp-config.php ফাইলটি খুলুন এবং নিচের ছবির দেখানো অংশের মত ইনবার্টেড কমা দুটির মাঝে bn_BD লিখে দিন।

পছন্দমত থিম যোগ
ওয়ার্ডপ্রেস এর বিল্ট থিম কার ভাল লাগে যেখানে নেটে একটু সার্চ দিলেই পাওয়া যায় ওয়ার্ডপ্রেসের দারুন সব থিম। সেই সব থিম থেকে আপনার পছন্দমত থিমটি ডাউনলোড করুন এবং আপলোড করুন হোস্টের ওয়ার্ড প্রেস ফোল্ডার এর wp contect>theme ফোল্ডারের ভেতর (অবশ্য এই আপলোড প্রক্রিয়াটি আপনি ড্যাশবোর্ড থেকেও করতে পারেন)। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে থিম ট্যাবে গিয়ে পছন্দের থিমটিতে Active ক্লিক করে একটিভ করুন।

থিম বাংলাকরন
যদি থিমটিও বাংলা করতে চান তবে থিম এডিটরে গিয়ে Home বা Comment এসব শব্দগুলো ধরে ধরে বাংলা করে দিন তবে খবরদার কোডের মধ্যে না বুঝে হাতাইয়েন না। এরপর থিম এডিটরের CSS ফাইলটি ওপেন করে ফন্ট ফ্যমিলির ফন্ট গুলোর জায়গায় এই লাইনটি রিপ্লেস করুন।

SolaimanLipi,’Lucida Grande’, ‘Lucida Sans Unicode’, Verdana, sans-serif;
আর ফন্টগুলোর সাইজও একটু বাড়িয়ে দিন।
উইজেট
উইজেট ট্যাব থেকে আপনার ইচ্ছামত উইজেটগুলো সাইডবারে ড্রাগ করে ড্রপ করুন। এভাবেই সাইডবার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উইজেটগুলো দিয়ে সাজান সহজেই।
প্লাগিংস
ওয়ার্ডপ্রেস জনপ্রিয় হবার অন্যতম কারন এর প্রচুর প্লাগিংস। আপনার প্রয়োজন মত যে কোন কিছুই এড করতে পারেন এই প্লাগিংসগুলোর মাধ্যমে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্লাগিংসগুলো আপলোড করুন হোস্টের ওয়ার্ড প্রেস ফোল্ডার এর wp contect>plugings ফোল্ডারের ভেতর (অবশ্য এই আপলোড প্রক্রিয়াটি আপনি ড্যাশবোর্ড থেকেও করতে পারেন)। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে Install plugings ট্যাবে গিয়ে Active ক্লিক করে এক এক করে একটিভ করুন প্লাগিংস গুলো।

আমি সাধারনত যে প্লাগিংসগুলো খুব বেশী ব্যাবহার করি সে গুলো হলঃ
একিজমেট
এটা ওয়ার্ডপ্রেসের বিল্ট ইন একটি প্লাগিংস আর এটি এত পরিচিত যে এর সম্বন্ধে নতুন করে বলার দরকার নেই কারন সবাই জানে স্প্যাম কমেন্ট থেকে মুক্তি দেয়াই এই প্লাগিংস এর কাজ।
ডব্লিউ পি থ্রেড কমেন্ট
এই প্লাগিংস এর কাজ পোস্ট কমেন্টে রিপ্লাই অপশন যোগ করা। যার মাধ্যমে কমেন্টের রিপ্লাই কমেন্ট দেয়া যাবে।
সাইডবার লগইন
এর নাম শুনলেই বোঝা যায় এর কাজ হূমম সাইডবারে লগইন বক্স যোগ করা যায় এর মাধ্যমে। আলাদা পেইজে যেয়ে লগইন করতে যে সময় অপচয় হয় তা থেকে মুক্তির জন্য এর বিকল্প নাই। আমাদের মেহেদী ভাই যদি এই প্লাগিংসটা একটু পছন্দ করত  ।
ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড পোস্ট
পোস্টের শেষে রিলেটেড পোস্ট শো করাই এই প্লাগিংস এর কাজ।
ডব্লিউ পি থাম্বনেইল
পোস্ট থাম্বনেইল ইমেজ শো করানোর জন্য এই প্লাগিংসটি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
অল ইন এসইও প্যাক
আলাদাভাবে পোস্টে মেটা কী ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন আর টাইটেল শো করানো যায় এই প্লাগিংস এর মাধ্যমে যা এসইও এর জন্য খুবই সহায়ক।
গুগল সাইটম্যাপ জেনারেটর
অটোমেটিক সাইটম্যাপ জেনারেট আর সাবমিট করাই এই প্লাগিংস এর কাজ যা সার্চ ইঞ্জিনে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করবে আপনাকে।
বাংলা ডেট টাইম মান্থ ইয়ার
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই প্লাগিংস এর মাধ্যমে তারিখ বাংলায় শো করানো যায় যা বাংলা ব্লগের জন্য বিশেষ দরকারী।
বাংলা কেবি
পোস্ট লেখার সময় বাংলা জনপ্রিয় লেআউটগুলো যোগ করে এই প্লাগিংসটি এটিতো বাংলা ব্লগের জন্য অপরিহার্য। এটি একটিভ থাকলে কমেন্টেও বাংলা অপশনটি রাখা যায়।
ভার্চুয়াল বাংলা কী বোর্ড
কমেন্টে ভার্চুয়াল বাংলা কী বোর্ড যোগ করা যায এই প্লাগিংসটি দ্বারা।
মেইনটেন্যান্স মুড
সাইটের মেইনটেন্যান্স এর কাজ চলার সময় তা ভিজিটরদের অবহিত করা আর এডমিন প্যানেলে ইচ্চামত ঘাটাঘাটি করতে এই
মোবাইল প্রেস
মোবাইল থেকে সাইট ব্রাউজ করার জন্যএই প্লাগিংসটি খুবই সহায়ক।
নেক্সট জেন
সাইটে ফটো গ্যালারী যোগ করার জন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ প্লাগিংস।
সোশ্যাল বুকমার্কিং রিলোডেড
পোস্ট সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে শেয়ারের জন্য এই প্লাগিংসটি।
ওয়ান ক্লিক রিটুইট/ফেসবুক লাইক/ শেয়ার
এই প্লাগিংসটি দিয়ে পোস্ট রিটুইট,ফেসবুক লাইক বা শেয়ার করা যায়।
ডব্লিউ থ্রী টোটাল ক্যাশ
সাইটের লোডিং টাইম কমানোর জন্য এই প্লাগিংসটি খুবই জরুরী।
ওয়াস আপ
ভিজিটর এমনকি স্পাইডারদের আদ্যোপান্ত জানার জন্য এই প্লাগিংসটি খুবই ভালোমানের একটি এনালাইটিকস যা দিয়ে আপনি প্রতিটি ট্রাফিকের সম্বন্ধে জানতে পারবেন আলাদাভাবে।
হূ ইজ অনলাইন
এটি দ্বারা অনলাইনে থাকা সাইটের ভিজিটর সংখ্যা দেখানো যায় সাইটে।
ডব্লিউ পি পুল
সাইটে পুল বা জরিপ পরিচালনার জন্য ব্যাবহার করা হয় এই প্লাগিংস।
এডস ম্যানেজার
এর মাধ্যমে পোস্টে এড শো করানো যায়।
ডেটাব্যাজ ব্যাকআপ
একটি সাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ডেটাবেজ যা হারালে আপনার সাইটটিই শেষ হতে পারে। তাই ডেটাবেজের নিয়মিত ব্যাকআপ রাখার জন্য এটি খুবই দরকারী একটি প্লাগিংস।
ভিজিটর কন্টাক্ট
এই প্লাগিংসটি দ্বারা সাইটের ভিজিটর দের জন্য কন্টাক্ট এর ফরম এবং কন্টাক্ট বাটন তৈরী হয়।
বাংলা কী বোর্ড অপশন কমেন্টে যোগ
এ জন্য এই বাংলা কেবি প্লাগিংসটি একটিভ করার পর থিম এডিটরে গিয়ে comment.php ফাইলের শেষে নিচের লাইনটি যোগ করতে হবে।
< ?php wp_banglakb_comments(); ?>
পেজ সমূহ তৈরী
ড্যাশবোর্ড থেকে Add new Page এ ক্লিক করে ইচ্ছামত পেজ যোগ করা যাবে পোস্ট লেখার মত করেই আর সেখান থেকেই ঠিক করে দেয়া যাবে যে পেজটি কি নতুন ট্যাবে আসবে না অন্য পেজের ড্রপডাউন মেনুতে।
হ্যাপি ব্লগিং
উপরের সব ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরন করতে পারলে হয়ে যাবে আপনারও একটি ব্লগ সাইট। তো শুরু করেন ব্লগান… হ্যাপি ব্লগিং সবাইকে।
পূর্ব প্রকাশঃ earnhelp.com

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১০

চেক করুন আপনার কম্পিউটারের সমস্যা

পিসি ইউজ করলে তো সমস্যা হবেই। তো আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, আপনার পিসির স্পিড কমে যাক। তাই বলছি, আপনি এটা করে দেখেন আর পিসির সমস্যা কী কী তা নিরূপণ করুন।
১. আপনার যদি রান ক্লিনার ইনস্টল করা থাকে, তবে তা ওপেন করে issue-তে গিয়ে scan issue ক্লিক করে দেন। যদি সমস্যা থাকে দেখবেন কতগুলো চলে আসছে। এরপর fix selected issue-fix selected issue-no-close করুন। দেখবেন সব ডিলিট হয়ে আপনার পিসি ফার্স্ট হয়ে গেছে। আর যদি সমস্যা না থাকে তবে scan issue করে কোনো কিছু আসবে না। এ কাজটি মাঝে-মধ্যে করুন আর পিসি ঠিক রাখুন।
২. উইন্ডোজের সমস্যা চেক করার জন্য start-run এ গিয়ে drwtsn32 লিখে দেন এবং অডিও সিলেকশন ছাড়া বাকি সব সিলেক্ট করে দেন। সমস্যা থাকলে অটোমেটিক্যালি দেখতে পাবেন, তখন পষবধত্ করে দিলেই হবে। আপনার দামি পিসি সেটটি বাঁচানোর জন্য এতটুকু মনে হয় আপনি করতে চাইবেন। কি, চাইবেন না?
সুত্র: আমার দেশ

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১০

কয়েক মিনিটে উইন্ডোজ ইনষ্টল করুন

অনেক কারনেই আমাদের উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কয়েক ঘন্টা ব্যায় করে উইন্ডোজ এবং অনান্য এ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম ইনষ্টল করতে হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটেই যদি উইন্ডোজসহ সকল এ্যাপলিকেশন ইনষ্টল করা যায় তাহলে কেমন হয়! হিরেন বুট সিডি দ্বারা আপনি কয়েক মিনিটেই উইন্ডোজসহ উক্ত ড্রাাইভে ইনষ্টল করা সকল এ্যাপলিকেশন ইনষ্টল করতে পারেন। এজন্য উইন্ডোজের ড্রাইভ ইমেজ করে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে তা রিস্টোর করলেই হবে। ৯৫-১৭৭ মেগাবাইটের ফ্রি সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে আনজিপ করে সিডিতে রাইট করুন। আর হিরেন বুট সিডির বিস্তারিত তথ্য (সকল দরকারি টুলসের বর্ণনা) পাওয়া যাবে এই সাইটে।

ইমেজ তৈরী করা: এখন একটি ড্রাইভে নতুন করে উইন্ডোজ ইনষ্টল করুন এবং দরকারী সকল এ্যাপলিকেশন, ড্রাইভার ইনষ্টল করুন (পূর্বে ইনষ্টল করা থাকলেও হবে)। এরপরে এবার সিডিটি প্রবেশ করিয়ে সিডি থেকে বুট করুন। তাহলে Hiren’s All in 1 BootCD আসবে যেখানে কীবোর্ড দ্বারা Disk Clone Tools… নির্বাচন করে এন্টার করুন। পরবর্তী স্ক্রিন থেকে Acronics Image Enterprise Server নির্বাচন করে এন্টার করলে কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রফিক্যাল মুডে Acronics Image Enterprise Server উইন্ডো আসবে, যেখানে মাউস ব্যবহার করা যাবে।

এবার Create Image এ ক্লিক করে Next করুন তাহলে হার্ডড্রাইভগুলো দেখা যাবে। ধরি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা আছে এবং আপনি C: ড্রাইভ ইমেজ করতে চাচ্ছেন। তাহলে C: ড্রাইভ নির্বাচন করে Next করুন এবং Information মাসেজ আসলে Ok করুন। এবার যে ড্রাইভে ইমেজটি সেভ করতে চাচ্ছেন সেই ড্রাইভ নির্বাচন করে ফাইলের নাম লিখে Next করুন। এখন Create Image Mode উইন্ডো থেকে Create the full backup Image Archive অপশন নির্বাচিত রেখে Next করুন এবং Image Archive Splitting উইন্ডোতে Automatic অপশন রেখে Next করুন এবং Compression Level উইন্ডোতে এ Maximum (এতে ইমেজের সাইজ কমে যাবে কিন্তু তৈরী এবং ইনষ্টল করতে একটু বেশী সময় লাগবে, আর Normal নির্বাচন করলে ইমেজ সাইজ বড় হবে এবং সময় কম লাগবে।) নির্বাচন করে Next করুন। এরপরে Image Archive protection এ ইচ্ছা করলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এবার Next করে Image Archive Comments Next করুন। এখন Proceed বাটনে ক্লিক করলে ইমেজ তৈরী হবে।

ইমেজ রিস্টোর করা: যখন আপনার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হবে তখন এই ইমেজটি রিস্টোর করে দিলেই হবে। আপনি যে ড্রাইভে ইনষ্টল করবেন সেই ড্রাইভ ফরম্যাট করতে হিরেন বুট সিডি থেকে Partition Tool থেকে Partition Magic Pro 8.05 এর মাধ্যমে ড্রাইভটিকে ফরম্যাট করতে পারেন।

ইমেজটি রিস্টোর করার জন্য পূর্বের নিয়মে গ্রফিক্যাল মুডে Acronics Image Enterprise Server উইন্ডো আনুন। এবার Restore Image এ ক্লিক করে Next করুন এবং Image Archive Selection উইন্ডো থেকে আপনার তৈরী করা ইমেজ নির্বাচন করে Next করুন। এবার Verify Archive Before The Restoring উইন্ডো থেকে No. I do not want to verify নির্বাচিত রেখে Next করে Partition or Disk to Restore থেকে Disk নির্বাচন করে Next করুন। এবার যে ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনষ্টল করতে চান সেই ড্রাইভ নির্বাচন করে Restore Partition Type উইন্ডো থেকে পার্টিশন (সি ড্রাইভ হলে প্রাইমারী, আর অনান্য ড্রাইভ হলে লজিক্যাল) নির্বাচন করে Next করুন এবং Restore Partition Size উইন্ডো থেকে ডিফল্ট রেখে Next করুন। এবার Next Selection এ No I do not image করে Proceed বাটনে ক্লিক করলে নির্দিষ্ট ড্রাইভে কয়েক মিনিটের মধ্যে সবকিছু হুবহু রিস্টোর হয়ে যাবে।

এবার নতুন উইন্ডোজটি চালু করে দেখুন সকল এ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম ইনষ্টল অবস্থায় আছে।
সুত্র monpura63

আপনার পেনড্রাইভ থেকে সেটআপ দিন windows XP

আমরা প্রয়ই সিডি রম দিয়ে উইনডোজ করে থাকি । আর এই কাজটি যদি পেনড্রাইভ দিয়ে করা যেত তহলে কি মজাই না হত। প্রকৃত পক্ষে এটা কি সম্ভব। হ্যা, এটা সম্ভব। আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার পেনড্রাইভকে বুথ এবল পেনড্রাইভ হিসাবে ব্যবহার করতে পারন। আর বুথ এবল পেনড্রাইভ থেকে উইনডোজ xp সেটাপ দিতে সিডি রমের চেয়ে আনেক কম সময় লাগে। আর এটাই এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। আর এ এজন্য আপনাকে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরন করতে হবে।
১। প্রখমে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে একটি USBMultiboot10.zip সফটওয়ার ডাউনলোড করতে হবে। এই ঠানায়
২। ডাউনলোড করার পর ফাইলটিকে আনজিপ করুন।
৩। আনজিপ করার পর "USB-Multiboot_10" নামে একটি ফাইল তৈরি হবে।
৪। এবার আপনার পেনড্রাইভটি কানেক্ট করুন। তবে আপনার পেনড্রাইভটি সর্বনিম্ন ‘১ জিবি’ হতে হতে হবে।
৫।তবে এটা খেয়াল রাখবেন পেনড্রাইভ এর সকল ডাটা যেন সংরক্ষীত থাকে। কারণ এ সময় পেড্রাইভটি ফরমেট হয়ে যাবে।
৬। এবার USB_Multiboot_10.cmd from USB_multiboot_10 ফোল্ডারাটি ওপেন করুন।
৭। তারপর Press any key to Continue. এমন একটি মেসেজ আসবে। এসময় কি বোডের য়ে কোনো একটি কি চাপুন।
৮। তারপর From Enter your choice : আসবে তখনি P চেপে ENTER করুন।
৯। এ সময় পেনড্রাইভ এর ফরমেট অপসান দেখাবে এবং পেনড্রাইভটি ফরমেট করুন।
১০। এবার আপনি আপনার XP CD সিডি রমে লোড করুন।
১১। Type 1 and press ENTER in Enter your choice
১২ XP CD installation Disk দেখা যাবে।
১৩ যখন unattended install option appear করবে তখন YES করতে হবে।
• এর পর নিচের তথ্য গুলো পুরণ করুন। এবং OK করুণ।
• Owner Name = emdadblog (Your Name)
• Organization Name = Emdadblog(Your Name)
• Product Key = XXXXX-XXXXX-XXXXX-XXXXX-XXXXX(your Xp serial Key)
• Computer Name = Emdadblog(your computer name)
• Administrator Password = XXXX(Your password)
• Time Zone = Your time zone
• Workgroup Name = Emdadblog(Your name)
• User Name = Emdadblog(Your name)
এবার OK করুন।
• Type 2 and press ENTER in choice 2
• এবার আপনার পেনড্রাইভ লোকেসান দেখা যাবে।
• Type 3 and press enter
• এবার বুথ এবল পেনড্রাইভ তৈরির কাজ শুরু হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বুথ এবল পেনড্রাইভ করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে পেনড্রাইভটি যেন USB থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়। বিচ্ছিন্ন হলে কাজটি সফল হবে না।
*ইনস্টল এর সময় আনেক কম্পিউটার এ একটা ইরোর আসে সেটা হল: hall.dll। এই সময় pen drive choose "2.and 3. Continue with GUI mode setup Widnows XP + Start XP from HD 1" from boot menu option এবং ENTER করতে হয়।
সুত্র monpura63

নানোটেকনলজি কি?

লিখেছেন ড. মশিউর রহমান
নানোটেকনলজি এর শুরুর কথা
একুশ শতাব্দিতে এসে আইটি নিয়ে কথা যতটা শোনা গেছে, ততটাই শোনা গেছে এই নানোটেকনলজি। জাপান এর জাতীয় গবেষনা বাজেটের সিংহভাগই ব্যবহৃত হচ্ছে নানোটেকলজি সংক্রান্ত বিষয়গুলিই উপর। শুধু মাত্র জাপানই নয় ইউরোপ, আমেরিকা, চিন, কোরিয়া সবগুলি দেশই উঠেপড়ে লেগেছে এই সংক্রান্ত গবেষনা নিয়ে। কেন? তারা এই বিষয়ে সবথেকে অগ্রগামী হতে চাই। এই বিষয়ে লিডার হতে চাই। আমেরিকা আইটি তে এগিয়ে থাকলেও নানোটেকনলজিতে অন্যান্য দেশগুলি পিছিয়ে থাকতে চায় না। তাই ভিষণ প্রতিযোগীতা চলছে দেশে বিদেশে। কেন নানোটেকনলজি নিয়ে সবার এত আগ্রহ? তার একটা সহজ উত্তর হল, সামনের দিন হবে নানোটেকনলজির যুদ। আপনার হৃদরোগ হয়েছে? নানো রবোট আপনার শরীরের ভিতরে ঢুকে সেই সব মেরামত করে দিবে। আপনার হাতের ঘড়িটি হয়ে যাবে আপনার কম্পিউটার আপনার মোবাইল, সব কিছুই। তা সম্ভব হবে নানোটেকনলজির বদৌলতে।
নানো টেকনলজি কি?
নানো একটি মাপার একক। ম্যাট্রিক একক এর শুরুটা হয়েছিল ১৭৯০ সনে ফ্রান্সে। ফ্রান্স জাতীয় পরিষদ এককগুলিকে সাধারণ করবার জন্য কমিটি গঠন করে এবং তারাই প্রথম ডেসিমাল কিংবা দশ একক এর ম্যাট্রিক পদ্ধতির প্রস্তাব করেন। এবং দৈর্ঘের একক এক মিটার এর সূচনা করেন। তারা পৃথিবীর পরিধির ৪০,০০০,০০০ ভাগের এক ভাগকে এক মিটার বলেন। মিটার শব্দটি গ্রীক শব্দ metron থেকে এসেছে যার অর্থ হল, পরিমাপ। এছাড়া মিটার এর ১০০ ভাগের এক ভাগকে সেন্টিমিটার বলা হয়। ১৭৯৩ সনে ফ্রান্সে আইন করে তা প্রচলন করা হয়। ১৯৬০ সনে এই মিটার এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়। ক্রিপটন ৮৬ এর কমলারঙের রেডিয়েশন এর তরঙ্গদৈর্ঘের ১,৬৫০,৭৬৩.৭৩ ভাগের এক ভাগকে মিটার বলা হয়। ১৯৮৩ সনে মিটার এর সংজ্ঞা পুনরায় পরিবর্তিত করা হয়, বর্তমান সংজ্ঞা অনুযায়ী, বায়ুশুন্যে আলোর গতির ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ ভাগের এক ভাগকে মিটার বলা হয়। এই মিটার এর ১,০০০,০০০,০০০ (১০০ কোটি) ভাগের এক ভাগকে নানোমিটার বলা হয়। নানো শব্দটি গ্রীক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার অভিধানিক অর্থ হল dwarft কিন্তু এটি মাপের একক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এই নানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনলজি গুলি সর্ম্পকিত সেগুলিকেই বলে নানোটেকনলজি।

মিটার এককটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত। বাড়িঘর আসবাবপত্র সবই আমরা মাপি এই মিটার এককে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত মিলিমটার স্কেলে যন্ত্রপাতির সূক্ষতা মাপা হত। মিলিমিটার এর ছোট কোন কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনার অবকাশ ছিলনা। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এক নতুন যুগের সূচনা হল। সেমিকন্ডাকটর তার পথযাত্রা শুরু করল। আর এর শুরুটা হল, ট্রানজিস্টর আবিষ্কার দিয়ে। তখন মাইক্রোমিটার একক দিয়ে আমাদের চিন্তভাবনা শুরু হল। বলা যায় যাত্রা শুরু হল, মাইক্রোটেকনলজির।

এর পরে টেকনলজি এগুতে লাগলো প্রচন্ড গতিতে। ভাগ্যো জিনিসপত্র, যার মধ্যে টেলিভিশন, রেডিও, ফ্রিজ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তা কিভাবে আরো ছোট করা যায় তা নিয়েই প্রচন্ত যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কোন কম্পানি কত ছোট আকারের এই সমস্ত ভোগ্য জিনিস আমাদের কাছে পৌছাতে পারবে, তার প্রতিযোগীতা শুরু হল। আর এই সমস্ত ব্যাপারটা সম্ভব হল, সেমিকন্ডাকর সংক্রান্ত প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রথম দিকের রোডিও কিংবা টিভির আকার দেখলে আমাদের এখন হাসি পাবে। এত বড় বড় জিনিস মানুষ ব্যাবহার করত কিভাবে? সেই প্রশ্নটি হয়তো এসে দাড়াবে। কিন্তু এখন বাজারে দেয়ালে ঝুলাবার জন্য ক্যালেন্ডারের মত পাতলা টিভি এসেছে। সামনে হয়তো আরো ছোট আসবে।

১৯৮০ সনে IBM এর গবেষকরা প্রথম আবিষ্কার করেন STM(Scanning Tunneling Microscope) এই যন্ত্রটি দিয়ে অনুর গঠন পর্য়ন্ত দেখা সম্ভব। এই যন্ত্রটির আবিষ্কারই নানোটেকনলজিকে বাস্তবে রুপ দিতে সক্ষম হয়েছে। কিভাবে কাজ করে এই STM। এই যন্ত্রে খুব সূক্ষ পিনের মত সুচাল টিপ আছে এবং তা যখন কোন পরিবাহী বস্তুর খুব কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তা থেকে টানেলিং নামে খুব অল্প পরিমানে বিদ্যুত পরিবাহিত হয়। এবং এই বিদ্যুত এর পরিমান দিয়েই সেই বস্তুটির বাহিরের স্তরের অনুর চিত্র তৈরী করা হয়। তবে এই STM এর ক্ষেত্রে যা দেখতে চাইবো তাকে অবশ্যই বিদ্যুত পরিবাহী হতে হবে। কিন্তু বিদ্যুত অপরিবহীর অনুর গঠন কিভাবে দেখা যাবে? না মানুষ বসে থাকেনি। অসম্ভবকে সম্ভব করেই মানুষ যেভাবে এতদূর এসেছে, তেমনি ভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা গেল AFM দিয়ে। STM এর ক্ষেত্রে টানেলিং বিদ্যুত দিয়ে কাজ করা হয় এবং AFM দিয়ে সুক্ষ পিন দিয়ে অনুর গঠন দেখা সম্ভব।
টপটুডউন ও ডাউনটুটপ:
নানোটেকনলজির ক্ষেত্র দুটি পক্রিয়া আছ। একটি হল উপর থেক নীচে (Top to Bottom)ও অপরটি হল নীচ থেক উপর (Bottom to top)। টপডাউন পদ্ধতিতে কোন জিনিসকে কেটে ছোট করে তাকে নির্দিস্ট আকার দেয়া হয়। এই ক্ষেত্র সাধারণত Etching প্রক্রিয়াটি সর্ম্পকিত। আর ডাউনটুটপ হল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় কোন জিনিস তৈরী করা। আমাদেরর বর্তমান ইলেক্ট্রনিক্স হল, টপডাউন প্রযুক্তি। আর নানোটেকনলজি হল, বটমটপ প্রযুক্তি। নানোমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরী করা হবে এই নানোপ্রযুক্তিতে। সহজে বুঝবার জন্য একটা উদাহরণ দেয়া যাক। মনে করুন, আপনার একটা বিশেষ ধরনের DNA এর প্রয়োজন। সুতরাং বটমটপ প্রযুক্তিতে, সেই DNA এর ছোট ছোট উপাদান গুলিকে মিশ্রন করে সেই কাঙ্খিত DNA টি তৈরী করা হবে। তবে নানোপ্রযুক্তিতে শুধু মাত্র বটমটুটপ প্রযুক্তিই নয়, বরং টপটুবটম প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই দুটির সংমিশ্রন করা হবে।

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করছি তারা জানি যে, প্রতি বছরই কম্পিউটার এর মূল্য কমছে। প্রতিবছরই আগের তুলনায় সস্তায় আরো ভাল কার্যক্ষমতার কম্পিউটার পাওয়া যাচ্ছে। আসলে এই কম্পিউটার এর সাথেও নানোটেকনলজি সম্পর্কিত রয়েছে। কম্পিউটার এর ভিতর যে প্রসেসর আছে, আপনারা প্রায় সবাই ইন্টেল প্রসেসর এর নাম শুনে থাকবেন? এই প্রসেসর এর ভিতরে রয়েছে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানোমিটার স্কেলের সার্কিট। আর তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে নানোটেকনলজি। ইন্টের প্রসেসরে, সিলিকন এর উপর প্যাটার্ণ করে সার্কিট বানান হয় তার বর্তমান সাইজ হল ১০০ নানোমিটার। সামনের তিন বছরে এর আকার হবে ৭০ নানোমিটার। এবং সাতবছরে এর আকার হবে ৫০ নানোমিটার। ইন্টেল আশা করছে যে ২০১০ সনে তারা ৩০ নানোমিটার সাইজে নিয়ে আনতে পারবে। আর আজকের থেকে তখন এই প্রসেসর এর আকার অর্ধেক হয়ে আসবে। সেই দিনটা খুব বেশী দূরে নয় যেদিন আপনার মোবাইলটি কাজ করবে কম্পিউটারের মত। (বর্তমানেই এই ধরনের কিছু মোবাইল বাজারে এসেছে)। এছাড়া রয়েছে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক। এই হার্ডডিস্কের তথ্য সংরক্ষনের ক্ষমতা দিন দিন বড়ছে। এই হার্ডডিস্কেও ব্যবহৃত হচ্ছে নানোটেকনলজি। এখন বাজারে ৩০০ গিগাবইটেরর হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে। আথচ এই ব্যাপারটা আজ হতে ১০ বছর আগও ছিল কল্পনার বাহিরে।
স্থির বিদ্যুত ভুত
নানোটেকনলজি দিয়ে সার্কিট বানান যতটা সোজা বলে মনা করা হয়, ব্যাপারটা ততটা সোজা নয়। সেইখানে প্রধান যে বাধা এসে দাড়াবে তা হল, স্থির বিদ্যুত। শীতের দিনে বাহির থেক এসে দরজার নবে হাত দিয়েছেন? এমনি সময় হাতে শক লাগে। কিংবা অন্ধকারে সুয়েটার খুলতে গেছেন এমনি সময় বিদ্যুত এর মত কনা সুয়েটারে দেখা গেল। এইগুলি সবই আমাদের প্রাত্যাহিক দিনে ঘটে, আর এইগুলিই হল স্থির বিদ্যুতের কারসাজি। সাধারণ ইলেক্ট্রিক সার্কিটের মধ্যে এই স্থির বিদ্যুত থেকে সার্কিটটিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা থাকে। যদি তা না করা হত, তাহলে কোন একটা কারণে স্থির বিদ্যুত আপনার বৈদুতিক সারঞ্জামকে নষ্ট করে দিত। কিন্তু নানোটেকনলজির ক্ষেতে বৈদ্যুতিক সার্কিট কল্পনাতিত ছোট হয়ে যায় বর গতানুগতিক পদ্ধতিতে রক্ষা করা সম্ভব নয়। কিভাবে নানোস্কেলেও এই সার্কিটগুলিকে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করছেন। স্থির বিদ্যুত সার্কিটে কিরকম ক্ষতি করতে পারে? প্রকৃতপক্ষে ছোটসার্কিটে স্থিরবিদ্যুত প্রায় ১৫০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রড এর মত তাপ সৃষ্টি করে। এই তাপে সার্কিট এর উপকরণ গলে, সেই সার্কিটটিকে নষ্ট করে দিতে পারে। এই কারণে ১৯৯৭ এর পরে IC সার্কিটে গতানুগতিক ভাবে ব্যবহৃত এলুমিনিয়ামের পরিবর্তে তামা ব্যবহৃত হয়। কেননা তামার গলনাঙ্ক ১০৮৩ যেখানে এলুমিনিয়ামের গলনাঙ্ক ৬৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। ফলে অধিক তাপমাত্রাতেও তামা এলুমিনিয়ামের তুলনায় ভাল কাজ করবে।
একদম শুরুর কথাঃ
১৯৮৯ সনের নভেম্বরের ৯ তারিখ খুব সম্ভবত নানোটেকনলজির জন্য একটা অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসবে বিবেচিত হবে। এই দিনে ক্যালিফোর্নিয়ার IBM এর Almaden Research Center এ Don Eigler এবং Erhard Schweizer ৩৫ টি Xenon অনু দিয়ে IBM এর লগোটি তৈরী করেছিলেন। সেইদিনই প্রথম অনুকে ইচ্ছেমত সাজিয়ে পছন্দমত কিছু তৈরী করা সম্ভব হয় মানুষের পক্ষে। তাই দিনটি হয়তো আজ হতে অনেক বছর পরে নানোটেকনলজির ক্ষেত্রে প্রথম মাইল ফলক হিসাবে পরিগনিত হবে। এইদিনই প্রথম মানুষ প্রকৃতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি অনুর কাঠামোকে ভাঙতে সক্ষম হয়েছিল। অনুর গঠনকে ইচ্ছেমত তৈরী করে অনেক কিছু করা সম্ভব। এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার মানুষের সামনে উন্মোচিত হল। ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলা যাক। শুধু মাত্র অনুর কাঠামোগত পার্থক্য হবার কারণেই কয়লা এত সস্তা আর হীরক এত দামী। দুটি জিনিসের মূল উপাদান হল কার্বণ। শুধু মাত্র অনুর গঠনের পার্থক্যের কারণে হীরক পৃথিবীর সবথেকে শক্ত দ্রব্য আর কয়লা কিংবা পেন্সিলের শীষ নরম।

প্রথম অনু দিয়ে কাঠামো গঠনঃ Nature (1990)344, 524-526.


কিন্তু নানোটেকনলজির কল্যানে যদি আমরা ইচ্ছেমত এই অনুকে সাজাতে পারি, তাহলে চিন্তা করে দেখুন ব্যাপারটা। আমরা ইচ্ছেমত যা ইচ্ছে তাই তৈরী করতে পারব।

এছাড়া ১৯৯৯ সনে Cornell বিশ্ববিদ্যালয়ের Wilson Ho এবং তার ছাত্র Hyojune Lee অনুকে জোড়া লাগানোর প্রক্রিয়া প্রদর্শন করেন। এতদিন পর্যন্ত অনু-পরমানুর সংযোগ শুধু মাত্র রাসয়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমেই সংগঠিত হত। কিন্তু নানোটেকনলজির মাধ্যমে অনু-পরমানুক ভেঙে কিংবা জোড়া লাগিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভবনার দ্বার খুলে দিল।
নানোটেকনলজির বিজনেস বর্ধিত হচ্ছেঃ
নানোটেকনলজির কারণে অনেক অনেক নতুন নতুন টেকনলজির উদ্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন দ্রব্য এর সূচনা করছে এবং সেই সাথে ব্যাবসায়িক সুযোগের দ্বার উন্মোচন করছে। আশা করা হচ্ছে যে আমেরিকাতে ২০১০ সনের আগে নানোটেকনলজি সম্পর্কিত দ্রব্য এর বাজার ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌছবে এবং ৮লক্ষ নতুন চাকরির সুযোগ করে দিবে। নানোটেকনলজির গুরুত্বের কথা চিন্তা করে আমেরিকার সরকার বর্তমানে নানোটেকনলজি সংক্রান্ত গবেষনাতে ২০০০ সনে ৪২২ মিলিয়ন ডলার এবং ২০০৩ সনে ৭১০ মিলিয়ন ডলার ব্যবহৃত হয়েছিল। শুধু সরকারই নয়, পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নানোটেকনলজি গবেষনায় অর্থ সরবরাহ করছে। তার কারন হল, নানোটেকনলজি আমাদের এক নতুন দুয়ার এর উন্মোচন করতে যাচ্ছে। যদিও নানোটেকনলজি খুব ক্ষুদ্র টেকনলজি সংক্রান্ত জিনিসগুলি নিয়ে কাজ করে যার ব্যাস একটি চুলের ব্যাসের ৮০ হাজার ভাগের এক ভাগ, কিন্তু এর ক্ষেত্র দিন দিন আরো বর্ধিত হচ্ছে।
১৯৯৬ সনের নোবেল পুরষ্কারে সম্মানিত Richard Smalley বলেছেন, “The impact of nanotechnology on the health, wealth and lives of people will be at least the equivalent of the combined influences of microelectronics, medical imaging, computer-aided engineering and man-made polymers in the twentieth centure.”

Nanoscience is the study of phenomena and manipulation of materials at atomic, molecular and
macromolecular scales, where properties differ significantly from those at a larger scale.

Nanotechnologies are the design, characterisation, production and application of structures, devices and systems by controlling shape and size at nanometer scale.
নানোটেকনলজি সম্পর্কিত বইঃ
1. The next big thing is really small by Jack Uldrich with Deb Newberry. Publisher: Crown Business, ISBN: 1-4000-4917-2
2. বই